মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক *** হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার *** নিরীহদের হয়রানি না করতে অনুরোধ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির *** পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর *** বিসিবির সিদ্ধান্ত বদল, স্টেডিয়ামে খাবার নিয়ে ঢুকতে মানা *** বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন অভিনেত্রী সানা

মামলা থেকে খালাস পেলেন যুগান্তরের প্রকাশক, সম্পাদক ও প্রতিবেদক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৪১ অপরাহ্ন, ৮ই আগস্ট ২০২৩

#

সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের দায়ের করা মানহানির মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, সম্পাদক সাইফুল আলম ও প্রতিবেদক জসীম চৌধুরী সবুজ। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম রেজাউল করিম চৌধুরী রায় ঘোষণা করেন।  

রায় ঘোষণার সময় সালমা ইসলাম ও সাইফুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মামলার বাদী শাজাহান খান উপস্থিত ছিলেন না। রায় ঘোষণার পর যুগান্তরের প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা সবসময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করে। এজন্য দৈনিক যুগান্তর বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে।

সম্পাদক সাইফুল আলম রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, একটা হয়রানিমূলক মামলায় দীর্ঘ ১২ বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরেছি। যুগান্তরে বাদীর প্রতিবাদলিপি ছাপার পরেও একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাশা করা যায় না।

আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী জিয়াউল হক ও মোরশেদুজ্জামান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ২০১১ সালের ২৪ আগস্ট ‘অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে নৌমন্ত্রীর কোটি কোটি টাকা অপচয়, ১৪ বার বিদেশ সফর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রতিবেদক জসিম চৌধুরী সবুজ লেখেন। এছাড়া পরদিন ২৫ আগস্ট যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদকীয়তে ‘নৌ খাতে অহেতুক অপচয়’ শিরোনামে সম্পাদকীয় কলাম লেখা হয়।

শাজাহান খান এই প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেন। তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন, মন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পরে ৬ বার বিদেশ সফর করেছেন। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ১ বার বিদেশ সফর করেছেন। তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন যুগান্তর পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রতিবাদ পাঠালেও যুগান্তর কর্তৃপক্ষ ভেতরের পাতায় তা নামমাত্র ছাপিয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে পাঠকসহ বাদীর নির্বাচনী এলাকার জনগণ এবং দেশবাসীর কাছে বাদীর ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হয়। 

যুগান্তর প্রকাশক, সম্পাদক ও প্রতিবেদক পরস্পর যোগসাজসে বাদীকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মানহানিকর, সুনাম ক্ষুন্নকারী সংবাদ ও সম্পাদকীয় কলাম ছেপেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে বাদী শাজাহান খানের ১০ কোটি টাকা সমমূল্যের মানহানি হয়েছে মর্মে মামলার অভিযোগে বলা হয়।

এসকে/ 

নৌ পরিবহনমন্ত্রী মানহানির মামলা বেকসুর খালাস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন